ইতিহাসঃ
আমাদের দেশে যে ধরনের মোগলাই পরোটা আমরা খাই সেগুলোর নাম মোগলাই পরোটা হলেও এগুলোকে পুরোপুরি মোগলাই খাবার বলা যায় না। কারণ সরাসরি মুঘল হেঁসেল থেকে এই রেসিপিটি আসেনি। মুঘল আমলে যে মোগলাই পরোটা বানানো হতো তাতে খাসীর কিমা দেয়া হতো পুর হিসাবে। প্রচুর মশলা দিয়ে খাসীর কিমা রান্না করে সেটা পরোটার ভেতরে ভাঁজে ভাঁজে ভরে ঘিয়ে ভাজা হতো। আর ভাজার জন্যও ছিলো বিশাল আকৃতির তাওয়া। ওই ধরনের পরোটাগুলোকে এখন কিমা পরোটা বলা হয়। পরবর্তিতে ঐ কিমা দেয়া মোগলাই পরোটা তৈরির পদ্ধতিটাই কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে ডিম দিয়ে বানানোর প্রচলন শুরু হয়। আর ঘিয়ে ভাজার বদলে ভাজা হয়ে থাকে তেল দিয়ে।
উপকরণঃ
ময়দা ৩ কাপ
ডিম ৫টি
তেল/ঘি ২ টেবিল চামচ (ময়দা মাখানোর জন্য)
পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ
কাঁচা মরিচ কুচি পরিমাণমতো
লবণ পরিমাণ মত
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে ময়দা, লবণ ও তেল একসাথে ময়ান করে পানি দিয়ে নরম ডো বানিয়ে আধা ঘন্টা রেখে দিন।
পেঁয়াজ কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ডিম ও লবণ এক সঙ্গে ফেটে নিন।
এরপর পিঁড়িতে তেল মেখে ময়দার ডো নিয়ে হাল্কা তেল মাখিয়ে রুটির মত বেলতে হবে। এই রুটি একটা ছোট হাফ প্লেটে তুলে নিন। তাহলে মাঝে ডিম দিয়ে ভাঁজ করতে সুবিধা হবে।
হাল প্লেটে রাখা রুটির মাঝে ফেটানো ডিম ছড়িয়ে দিয়ে চার পাশ থেকে চার ভাঁজে ভাঁজ করে নিতে হবে। ভাঁজটা এমন হতে হবে যেন ভেতরের ডিম বাইরে বেরিয়ে না আসে। প্লেটে থাকার কারণে রুটির মাঝে হাল্কা গর্ত থাকবে, তাই ডিম বের হয়ে যাবে না।
এবার সাবধানে পরোটা তেলে দিয়ে দিন। ছড়ানো ফ্রাই প্যানে ভাজলে দিতে সুবিধা হবে। ডুবোতেলে হালকা বাদামি করে পরোটা ভেজে নিতে হবে। ভেতরে ডিম রান্না হয়ে গেলে পরোটা ফুলে ফেঁপে উঠবে। খুব বেশি জ্বাল থাকলে কিন্তু ডিম ভেতরে কাঁচা রয়ে যাবে।
পরোটা তেল ঝরিয়ে কিচেন টিস্যুতে রাখতে হবে।
ছুরি দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে সালাদ বা সসের সাথে পরিবেশন করতে হবে।
0 comments:
Post a Comment