#DesiFood

মুরগীর শাক | নোয়াখালীর স্পেশাল

0
n-1-1-660x330.jpg



নোয়াখালীর একটা জনপ্রিয় খাবার নিয়েই আমাদের আজকের রেসিপি আয়োজন। আর তা হল মুরগীর শাক (মোরগের হাগ নোয়াখাইল্যা ভাষায়)। তো এই খাবারটি আপনারা খেয়েছেন কি কখনও? যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে এখনি জেনে নিন রেসিপি ও পরিবেশন করুন সবার সাথে।

উপকরণঃ

মাঝারি সাইজের মুরগী -২টা
পেয়াজকুচি-যতটুকু মুরগী ততটুকু পেঁয়াজ
কাঁচামরিচ- ছোট কচি কাঁচামরিচ ২ কাপ
আদা, রসুন, লবন
১চামচ চিনি
ঘি
তেজপাতা, দারুচিনি আর এলাচি
জিরা বাটা
হলুদ গুড়ো।


প্রনালীঃ


প্রথমে তেলে অল্প পেয়াজ দিয়ে হাল্কা ভেজে ,মুরগী গুলো দিয়ে একটু ভেজে নিবেন। এরপর আদা বাটা আর রসুন বাটা, লবন, হাল্কা একটু হলুদ গুড়ো দিয়ে আবার একটু পেয়াজ দিয়ে দিবেন। এভাবে ৩ /৪ বারে পেয়াজগুলো দিবেন মুরগীতে তাহলে আর সব পেয়াজ গলবে না। কোন পানি দেয়া লাগবে না। পেঁয়াজের রসেই মুরগী হয়ে যাবে। শেষবার যখন পেয়াজ দিবেন তখন কাচামরিচ গুলোও দিয়ে দিবেন। এই রান্নাতে বেশি পেয়াজ আর কাঁচামরিচ ব্যবহার করা লাগে। ছোট মরিচ হওয়াতে মরিচ বেশি দিলেও ঝাল বেশি লাগে না। পুরো মুরগী টা পেয়াজ আর কাঁচামরিচে ঢেকে যাবে। রান্না হয়ে গেলে বেরেস্তা করে বেরেস্তার মধ্যে জিরা বাটা দিয়ে আরেকটু ভেজে মুরগীতে দিয়ে নেড়ে দিবেন। এবার নামানোর আগে ১চামচ চিনি আর ঘি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে ফেলুন। শুধু মাখা মাখা ঝোল টাই খেলে অস্থির হয়ে যাবেন।তেজপাতা, দারুচিনি আর এলাচি তো ব্যবহার করবেনই। আশা করি ভাল লাগবে। আগের কালের মানুষে রেসিপি তো!আমি এটাতে কাচামরিচ কম ব্যবহার করেছি আমার ছোট বাবু আছে তাই। কিন্তু বেশি ব্যবহার করলে বেশি মজা। ঝাল খুব একটা হয় না। ও আমি একটু ধনিয়া গুড়াও ব্যবহার করেছি।

0 comments:

Post a Comment